পিএসজির সাথে চুক্তি শেষ হওয়ার পর থেকেই লিওনেল মেসির ভবিষৎ গন্তব্য কোথায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে ঢের। যার মধ্যে নিজের আঁতুড়ঘর বার্সায় ফেরার গুঞ্জনই ছিলো বেশি। এর বাইরে ইউরোপের বেশ কয়েকটি বড় ক্লাবের আগ্রহের জায়গায় ছিলেন লিওনেল মেসি। এমনকি মোটা অঙ্কের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সৌদি ক্লাব আল হিলাল থেকে। তবে অর্থের সেই ঝনঝনানির পেছনে ছোটেন নি এই আর্জেন্টাইন ফুটবলার। এই আলোচনায় সবচেয়ে কম সম্ভাবনা ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামির। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেই মায়ামিতেই যাওয়ার ঘোষণা দেন লিওনেল মেসি নিজেই।
মায়ামির হয়ে প্রথম শিরোপা জিতেছেন মেসি। যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে মেসির অভিষেক হয়েছে এই মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবগুলো নিয়ে আয়োজিত লিগস কাপে। আগামী ২৭ আগষ্ট মেজর লিগ সকারে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন তিনি। মায়ামির হয়ে এখন পর্যন্ত লিগস কাপে ৭টি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। ন্যাশভিলের বিপক্ষে ফাইনালের একটি গোলসহ করেছেন মোট ১০টি গোল। জিতেছেন প্রতিযোগিতাটির সর্বোচ্চ গোলদাতা ও টুর্নামেন্ট সেরার পুরষ্কার।
মায়ামির হয়ে শিরোপা জয়ের পর পরিবারের সদস্য ও সতীর্থদের সঙ্গে মাঠে উদযাপন করেছেন মেসি। সতীর্থরাও মেসিকে শূন্যে তুলে শিরোপা জয় উদ্যাপন করেছে। মায়ামির এ শিরোপা জয়ে তো তাঁর অবদানই সবচেয়ে বেশি। উদযাপন শেষে এক ইনস্টাগ্রামে পোস্টে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মেসি। লিখেছেন, ‘চ্যাম্পিয়নস!!! ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জিতে খুব খুশি। সবার কঠিন পরিশ্রম আর নিবেদনের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। আশা করছি, মাত্র তো শুরু…চলো এগিয়ে যাই।’
মায়ামির লিগস কাপ জয়ে মেসির ভূমিকা তুলে ধরেছেন তার দুই সতীর্থ সের্হিও বুসকেতস ও জর্দি আলবা। সাবেক ক্লাব বার্সেলোনার পর আবার মায়ামিতে জুটিবদ্ধ হয়েছেন তারা। মায়ামির শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে এই দুইজনেরও। আলাদাভাবে মেসির প্রশংসা করে বুসকেতস বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা নিজেদের অভিজ্ঞতা দলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পেরেছি। এই শিরোপার কৃতিত্ব সবাইকে দিতে হবে। আমরা দারুণ একটি দল গঠন করেছি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে আমাদের দলে বিশ্বসেরা খেলোয়াড়টি আছেন, তিনি লিওনেল মেসি।’
উচ্ছ্বসিত মেসিদের কোচ জেরার্ডো টাটা মার্টিনোও। মেসি ইন্টার মায়ামিকে বেছে নেওয়ার পর অনেকেই বলেছিল, চাপহীন থাকার জন্য এই ক্লাবটিকে বেছে নিয়েছেন মেসি। তবে মার্টিনো তা উড়িয়ে দিলেন আরো একবার। মেসিকে নিয়ে তার মন্তব্য, ‘সে জিততে এসেছে, সে লড়াই করতে এসেছে। বুসকেতস এবং আলবাও একই কথা বলেছিল। তারা দলকে একটা পরিচয় দিয়েছে। আমাকে যেটা করতে হচ্ছে, তা হলো এই তিনজনের বৈশিষ্ট্যকে অনুসরণ করা এবং তা দলের অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া।’