২০২৩ সালে গাজায় ১৭ জন সাংবাদিক মারা গেলেও এ বছর দায়িত্ব পালনে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা কমেছে। বৃহস্পতিবার মিডিয়া অ্যাডভোকেসি গ্রুপ রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স এ তথ্য প্রকাশ করে। গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৬৩ জন সাংবাদিক নিহত হলেও ১৭টি মৃত্যু আরএসএফ এর সংজ্ঞার আওতায় পড়েছে।
আরএসএফ এর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে, ৪৫ জন সাংবাদিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হয়েছে। ২০২২ সালে কর্তব্য পালন করতে গিয়ে ৬১ সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছিল।
আরএসএফ তাদের রিপোর্টে বলেছে, বিশ্বব্যাপী কর্তব্য পালন করতে গিয়ে সাংবাদিক মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস পাওয়া একটি ইতিবাচক প্রবণতা। যা আন্তঃসরকারি সংস্থা এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা এবং কর্মক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সতর্কতা অবলম্বনে সচেতনতার ফলে সম্ভব হয়েছে।
বিশেষ করে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে সংবাদকর্মী মৃত্যুর সংখ্যা। ২০২২ সালে এ অঞ্চলে ২৬ জন সংবাদকর্মীকে হত্যা করা হয়। এ বছর তা ১১তে নেমে এসেছে।
প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী কারাগারে বন্দী সাংবাদিকের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে, যা ২০২২ সালে ৫৬৯ থেকে কমে এবছর ৫২১-এ নেমে এসেছে। চীন ও মিয়ানমারের মতো বেলারুশ করারগারে বন্দী সংবাদকর্মীদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে প্রতিবেদনে এই তিন দেশের প্রতি নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। তুরস্ক ও ইরানে বারবার সাংবাদিকদের জেলে পাঠানোর প্রবণতারও নিন্দা জানায় সংস্থাটি।
জিম্মি হওয়া সাংবাদিকের সংখ্যা ২০২২ সালের ৬৫ থেকে কমে এ বছর ৫৪ হয়েছে। আরএসএফ এ উন্নতির কথা স্বীকার করলেও সংবাদ প্রকাশে চলমান চ্যালেঞ্জগুলোর কথা উল্লেখ করে বলে, সাংবাদিকরা যেন নিরাপত্তা ঝুঁকি ছাড়াই তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।