ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের শ্রেষ্ঠত্বের আসর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালে। আইসিসির পূর্ণ সদস্যদেশ না হয়েও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়নে আইসিসির মানদণ্ড পূরণ না হওয়ায় মার্কিন মুল্লুকে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলো নিউজ১৮সহ ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। তবে এই খবর সত্য নয় বলে জানিয়েছে আইসিসি ও ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। এখন পর্যন্ত উল্লিখিত বিশ্বকাপ দুটি পূর্বসিদ্ধান্ত অনুসারেই আয়োজিত হওয়ার কথা বলে জানিয়েছে সংস্থা দুটি।
ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে ইসিবির মুখপাত্র বলেন, ‘২০২৪ বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরিয়ে এনে ইংল্যান্ডে আয়োজনের সুযোগ নেই। আর এটি আইসিসি ইভেন্ট হওয়ায় সংস্থাটির বক্তব্য আবশ্যিক ও চূড়ান্ত হিসেবে পরিগণিত হবে। এরকম কোন কিছু নিয়ে আইসিসির সাথে ইসিবির আলোচনা হয়নি।’
এমন খবরের বাস্তবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির এক মুখপাত্র। ক্রিকবাজকে সেই মুখপাত্র বলেন, ‘যে সময়টাতে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে, তখন ইংল্যান্ডে বর্ষা শেষে গ্রীষ্মের শুরু হবে। এমনিতে কাউন্টিসহ নানা ধরনের টুর্নামেন্টগুলো মাঠে গড়াবে। সেই সাথে জাতীয় দলেরও ব্যস্ত সূচী থাকায় ইসিবির পক্ষে বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব হবে না। বিশেষত এই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সেটি একরকম অসম্ভবই।’ তিনি আরো জানান, ‘সম্প্রতি ওই অঞ্চলে ভেন্যু পরিদর্শনের কাজ শেষ হয়েছে। পুরোদমে ২০২৪ সালের জুনে টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা এগোচ্ছে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আসর হতে যাচ্ছে ২০২৪ বিশ্বকাপ। ২০ দলের অংশের মোট ৫৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আসরটিতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা, ডালাসসহ আরেকটি ভেন্যু বিবেচনায় রয়েছে আইসিসির। তার আগে পাঁচ দলের অংশগ্রহণে আগামী জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে দেশটির প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট-মেজর লিগ ক্রিকেট।