রাজনৈতিক টানাপোড়েন ও দুই দেশের বৈরী সম্পর্কের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। যার প্রভাব পড়েছে দুই দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও। চলতি বছর এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ নিয়ে দুই দলের মুখোমুখি অবস্থান আবারও আলোচনার সৃষ্টি করেছে। এ বছর এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। কিন্তু সেখানে খেলতে না যাওয়ার ঘোষণা দেয় ভারত।
বিসিসিআইয়ের এই ঘোষণার জবাবে অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে না যাওয়ার হুমকি দেয় পাকিস্তান। পরে নানা জলঘোলা হওয়ার পর পাকিস্তানেই এশিয়া কাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। তবে ভারতের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কায়। আবার বিশ্বকাপ খেলতে গেলেও আহমেদাবাদে কোন ম্যাচ খেলবে না বলে ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। কিন্তু পিসিবির সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি বিসিসিআই। ভারতের এমন একগুঁয়েমির কারণে বেজায় চটেছেন জাভেদ মিয়াঁদাদ।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমকে কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান বলেছেন, তাঁর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকলে ভারত বিশ্বকাপ বয়কট করতেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ২০১২ সালে ভারত সফর করেছে। এমনকি ২০১৬ সালেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল। এবার ভারতীয়দের এখানে পাকিস্তানে আসার পালা। আমাকে যদি সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হতো, আমি কখনোই ভারতে যেতাম না।’
২০০৮ সালের পর পাকিস্তান সফর করেনি ভারত। এমনকি দুই দল সবশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিলো প্রায় এক যুগ আগে, ২০১২ সালে। এরপর থেকে এশিয়া কাপ ও আইসিসি ইভেন্ট ছাড়া দুই দলের দেখা হয়না। দুই দেশ বেশ কয়েকবার সম্পর্কোন্নয়নের কথা বললেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। কিন্তু এখনো বিশ্বকাপ খেলতে ভারত যাওয়ার বিষয়টিই নিশ্চিত করতে পারেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এবার মিয়াদাঁদের এমন মন্তব্যের পর সেই আলোচনার পালে নতুন হাওয়া লাগলো।