এশিয়া কাপের অন্যতম ফেভারিট পাকিস্তানকে হারিয়ে এবারের আসরে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল ‘আন্ডার-ডগ’ শ্রীলঙ্কা। অলিখিত সেমিফাইনাল খ্যাত সুপার ফোরের এই ম্যাচে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছে লঙ্কানরা।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে কয়েক দফা বৃষ্টিতে ম্যাচ নেমে আসে ৪২ ওভারে। এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। নির্ধারিত ৪২ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫২ রান তোলে পাকিস্তান।
ব্যাট করতে নেমে বেশ ধীরে শুরু করেন পাকিস্তানি দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ও ফখর জামান। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ফখর জামানকে ৪ রানে ফেরান প্রামোদ মাধুশান।
বাবর আজম ও শফিকের জুটি নিরবচ্ছিন্ন থাকে ৭২ রান পর্যন্ত। বাবরকে ২৯ রানে ফেরান ওয়েল্লালাগে। এরপর দলীয় ১০০ রানের মাথায় শফিককে ৫২ রানে ফেরান পাথিরানা।
দলের বিপাকে ৮৬ (৭৩) রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এছাড়া ইফতিখার আহমেদের ব্যাটে আসে ৪৭ (৪০) রান।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৩ উইকেট নেন মাথিশা পাথিরানা। ২টি উইকেট নেন মাধুশান এবং ১টি করে উইকেট নেন থেকশানা ও ওয়েল্লালাগে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল পেরেরা বেশ সাবধানী ব্যাটিং করেন। পেরেরা ১৭ রান করে ফেরার পর নিশাঙ্কা ফেরেন ২৯ রান করে। দুই ওপেনারকেই ফেরান শাদাব খান।
এরপর কুশল মেন্ডিস ও সধিরা সামারাবিক্রমার ১০০ রানের জুটি ঘুরিয়ে দেয় ম্যাচের মোড। বলা যায় পাকিস্তানের থেকে ম্যাচটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় এই জুটি।
সামারাবিক্রমাকে ৪৮ রানে ফেরান ইফতিখার। একপাশ আগলে রাখেন কুশল মেন্ডিস। চারিথ আসিলাঙ্কার সঙ্গে করেন ৩৩ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত ৮৭ বলে ৯১ রানের ইনিংস খেলে ক্যাচ দেন ইফতিখারের বলে।
ততোক্ষণে জয়ের পাল্লা ঝুঁকে যায় শ্রীলঙ্কার দিকে। তবে দলীয় ২৪৩ রানের মাথায় দাসুন শানাকার বিদায়ে বিপদ বাড়ে শ্রীলঙ্কার।
৪১তম ওভারে ধানাঞ্জায়া ডি সিলভা ও দুনিথ ওয়েল্লালাগেকে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন শাহীন আফ্রিদি। এই ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে রোমাঞ্চটা নিয়ে যান শেষ ওভারে।
শেষ ওভারে জামান খান প্রথম তিন বলে ১ রান দিয়ে চতুর্থ বলে প্রামুদকে ফেরান রান আউট করে। তবে পঞ্চম বলে চার মারেন আসালাঙ্কা। শেষ বলে ২ রান নিয়ে ম্যাচটা নিজেদের করে নেন আসালঙ্কা।
পাকিস্তানের পক্ষে ৩ উইকেট নেন ইফতিখার, ২টি নেন শাহীন আফ্রিদি ও ১ উইকেট নেন শাদাব।