নারী বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর আগে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিস্তর আলাপ হয়েছে। তবে সেসব কোন আলোচনাতেই ছিলো না স্পেনের নাম। এক বছর আগে খেলোয়াড় বিদ্রোহে মূল দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়কে হারিয়ে ফেলা দলটিকে নিয়ে বাজি ধরার মতো লোক খুঁজে পাওয়াও ছিলো দুস্কর। গ্রুপ পর্বে জাপানের আছে ৪-০ গোলের ব্যবধানে হারা দলটি ফাইনালে উঠৈ তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো সবার। এবার সেই স্প্যানিশরা লিখলো নতুন রূপকথা। ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্পেন।
সিডনিতে নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে দুই দলের লড়াইয়ে শুরু থেকে অবশ্য আধিপত্য দেখিয়েছে ইংল্যান্ড। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে ইংলিশ ফরোয়ার্ড লরেন হেম্পকে গোলবঞ্চিত করেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক কাতা কোলে। এরপর ১৬ মিনিটে আরো একবার হেম্পের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। উল্টো ২৯ মিনিটে মারিওনা কালদেন্তির পাস থেকে স্পেন অধিনায়ক ওলগা কারমোনা বল জালে জড়ালে এগিয়ে যায় স্পেন।
পিছিয়ে পড়ার পর খেলায় ফেরায় মরিয়া চেষ্টা চালায় ইংল্যান্ড। কিন্তু কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়নি ইংলিশরা। উল্টো ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিলো স্পেনের। তবে পেনাল্টি পেয়েও ব্যবধানটাকে দ্বিগুণ করতে পারেনি স্পেন। হেনি হেরমোসোর দুর্বল শট ধরে ফেলেন ইংলিশ গোলরক্ষক মেরি ইয়ার্পস। প্রথমার্ধের লিড ধরে রেখে মেয়েদের ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় তুললো স্প্যানিশরা। মেতে উঠে শিরোপা জয়ের উল্লাসে।
২০১০ সালে প্রথমবার ফাইনালে উঠেই বিশ্বকাপ জিতেছিল স্পেনের পুরুষ ফুটবল দল। ১৩ বছর পর প্রথমবার ফাইনাল খেলেই বিশ্বকাপ জিতল স্পেনের নারী ফুটবল দল। তবে স্পেনের ছেলেদের দল ফাইনালে উঠেছিল ১৩ তম চেষ্টায়, আর তাঁদের মেয়েরা জিতে গেল তৃতীয়বার বিশ্বকাপ খেলতে এসেই। স্পেনের পুরুষ দলও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ১-০ গোলে হারিয়ে।