আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চাপ বিদেশ থেকে আছে। দেশে তো আছেই। তবে আমরা সব চাপ অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখি, সাহস রাখি, সামর্থ্য রাখি। আমাদের শক্তি জনগণ। জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনও চাপই মোকাবেলা করা অসম্ভব নয়।
মন্ত্রিসভায় আবারো সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম দিন সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। টানা ১৩ বছর ধরে এ মন্ত্রণালয় সামলাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ। মাটি ও মানুষের সঙ্গে যে সরকারের, যে দলের সম্পর্ক, সেই দল কোনও বিদেশি চাপ বা দেশি চাপের কাছে নতি স্বীকার করে না। আমরা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। পথে পথে বাধা, পদে পদে বাধা—এটা আমরা অতিক্রম করেছি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি অতিক্রম করেছি। এখন নির্বাচন তো হয়েই গেছে। অনেকে ভেবেছে এই নির্বাচন আমরা করতে পারবো না। তাদের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে গেছে। আমাদের স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়িত করেছি। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ আসবে আমরা জানি। বিদেশ থেকে চাপ আসবে। অর্থনীতিকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রও আছে। এগুলোকে ভয় পেলে চলবে না। সাহস রাখতে হবে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এজন্য নিম্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এটা লাঘব করা দরকার। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন, এখন আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে দ্রব্যমূল্য যেন সহনীয় পর্যায়ে ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল হয়েছে, তবে এখনো সড়কে শৃঙ্খলা ফিরেনি। এখানে শৃঙ্খলা আনতে পারিনি। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেটি বাস্তবায়িত হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। সরকার সড়কে শৃঙ্খলার ওপর বেশি জোর দেবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হওয়া উন্নয়ন দেশেরই সম্পদ, সব জনগণের সম্পদ। শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই নন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীরাও এই উন্নয়ন-অর্জনের সুফল ভোগ করবেন। কারণ তারাও এ দেশের নাগরিক। তাই সবাইকে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।