আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ শিরোপা জেতা ফুটবলার এখন লিওনেল মেসি। ইন্টার মায়ামিকে শিরোপা জিতিয়ে নতুন এক গল্পের সূচনা করেছেন তিনি। ইন্টার মায়ামিকে তাদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপার এনে দেয়ার পাশাপাশি ট্রফি কেসে আরো একটি পালক যুক্ত করেছেন মেসি। তাতেই সাবেক ক্লাব সতীর্থ দানি আলভেজকে টপকে ফুটবলের সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ীদের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।
মায়ামির হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শিরোপা জয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ারের ৪৪তম ট্রফি উঁচিয়ে ধরেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। আর এসব শিরোপা জিতেছেন তিনি ১৬টি দেশে। যার মধ্যে মেসি সবচেয়ে শিরোপা উদযাপন করেছেন স্পেনে। বার্সেলোনার হয়ে ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে মেসি শিরোপা জিতেছেন ৩৫টি।
স্পেনের মাটিতে একাধিকবার লা লিগা, কোপা দেল রে এবং স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জিতেছেন লিওনেল মেসি। নেদারল্যান্ডসের মাটিতে জিতেছেন অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ। ফ্রান্সে ২০০৫-০৬ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের পাশাপাশি পিএসজির হয়ে জিতেছেন লিগ ওয়ান শিরোপা। ২০০৮ সালে চীন অলিম্পিকের পর সে বছর ইতালিতে জেতেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। পরের বছর মোনাকোতে জেতেন ইউরোপিয়ান সুপার কাপ। ২০০৯ সালের ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জেতেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ইংল্যান্ডে ২০১০–১১ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং কনমেবল উয়েফা কাপ অব চ্যাম্পিয়ন্স জেতেন। জাপানে জিতেছেন ২০১১ ও ২০১৫ সালে ক্লাব বিশ্বকাপ। ২০১৪-১৫ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বাদ পান জার্মানিতে। ২০১৫ সালে জর্জিয়ায় জেতেন ইউরোপিয়ান সুপার কাপ। ২০১৮ সালে মরক্কোতে জেতেন স্প্যানিশ সুপার কাপ।
২০২১ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হওয়া কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের মাধ্যমে জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম বড় কোন টুর্নামেন্টের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন মেসি। পিএসজির হয়ে ২০২২ সালের ফ্রেঞ্চ সুপার কাপ জেতেন ইসরায়েলে। এরপর ২০২২
কাতার বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ারের একমাত্র অপূর্ণতা দূর করেন তিনি। এবার যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর এক মাসের মধ্যে ইন্টার মায়ামির হয়ে জিতলেন লিগস কাপ।
বিশ্বের নানা প্রান্তে শিরোপা উদযাপন করলেও নিজ দেশ আর্জেন্টিনায় কখনো শিরোপা উদযাপন করা হয়নি মেসির। ২০১১ সালে কোপা আমেরিকার আয়োজক ছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু সেবার উরুগুয়ের কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিলো মেসির আর্জেন্টিনাকে।