এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে অভিজ্ঞতা আর অনভিজ্ঞতার ফারাকটাই বড় হয়ে উঠেছে। শক্তিধর পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলাটাই ছিল নেপালের বড় পাওয়া। তাই ম্যাচের ফলাফল নিয়ে বাড়তি আগ্রহ ছিলনা দর্শকদেরও।
এশিয়া কাপের মত বড় আসরে খেলতে পারার বিষয়টি ছিল নেপালের কাছে স্বপ্নের মতো।পাকিস্তানের কাছে ২৩৮ রানের বড় ব্যবধানে হারটাও তাদের জন্য আশাহত হওয়ার কারণ হয়নি। পাকিস্তানের শক্তিধর বোলিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ১০৪ রান তোলাতেও নিজেরা কিছুটা আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাবে।
বুধবার মুলতান স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। ১২৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর বাবর ও ইফতিখার আহমেদের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩৪২ রানের হিমালয় দাঁড় করে দেয় নেপালের সামনে।
এদিন বাবর তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। শেষ ওভারে যখন সাজঘরে ফিরলেন, নামের পাশে শোভা পাচ্ছিল ১৫১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ওয়ানডের দ্রুততম ১৯ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১৩১ বল খেলে ১৫১ রানের ইনিংসে ১৪টি চার ও চারটি ছক্কা হাঁকান পাকিস্তান অধিনায়ক। তার সাথে ২১৪ রানের জুটিতে ইফতিখারও সেঞ্চুরি তুলেছেন। তার ব্যাট থেকে আসে ১০৯ রানের ইনিংস। এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। ১১টি চার ও চারটি ছক্কা মারেন এই ব্যাটার।
৩৪২ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই শাহিন-নাসিমের পেস তোপে পড়ে নেপাল। ১৪ রানে হারায় টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে। এরমধ্যে শাহিন আফ্রিদি দুটি ও নাসিম এক উইকেট তুলে নেন।
এরপরও শক্ত হাতে লড়াই চালিয়ে যায় নেপালীরা।মিডল অর্ডারের আরিফ শেখ ও সোমপাল কামি ৫৯ রানের জুটি গড়েন। হ্যারিস রউফ ওই জুটি ভাঙার পর আর দাঁড়াতে পারেনি তারা। নেপালের হয়ে আরিফ ২৬ ও সোমপাল ২৮ রান করেন। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন শাহিন ও হ্যারিস। তবে ৬.৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে নেপাল শিবিরে ধস নামান শাদাব খান।