আল হিলালে নেইমারের বাদশাহী জীবন!

কী কী পেতে বাকি আছে? আর সৌদি ক্লাব আল হিলাল ই বা কী কী দিতে বাকি রেখেছে? নেইমার আল হিলালে এসেছেন কী কী শর্তে সেই ফিরিস্তি বেশ লম্বা।

নেইমারের দাবি মেনেই তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২৫ রুম বিশিষ্ট বিশাল এক বাংলো। সেই বাংলোতে ৪০ বাই ১০ ফুটের সুইমিং পুল ছাড়াও তিনটি স্টিম বাথ থাকবে। সার্বক্ষণিক পাঁচজন গৃহকর্মী থাকবে। এর সব কিছুই রাখা হয়েছে। নেইমারের চাওয়া মতো নয়টি গাড়ি দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ল্যাম্বারগিনির মতো সব বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে ২৪ ঘণ্টার চালকসহ। বছরে শুধু ১০ কোটি ইউরোই পাবেন না নেইমার, চুক্তি অনুযায়ী সৌদি আরবকে নিয়ে প্রতিটি প্রমোশনাল পোস্টের জন্য নেইমার পাবেন পাঁচ লাখ ইউরো।

ছুটিরদিনগুলোতে নেইমারের ভ্রমণের জন্য হোটেল, ট্রাভেল, রেস্টুরেন্ট এবং আনুষঙ্গিক সব খরচ দিতে হবে আল হিলালকে। তার ব্যক্তিগত বিমানের সব ধরনের খরচও মেটাতে হবে ক্লাবকে।
এসব সুবিধা নিশ্চিত হওয়ার পরই নেইমার আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন এবং রোনালদোর মতো তিনিও বান্ধবী ব্রুনা বিয়ানকার্দিকে নিয়েই সৌদিতে থাকতে পারবেন।

লোহিত সাগর ও পারস্য উপসাগর তীরবর্তী সৌদি আরবে তার জন্য থাকবে সমুদ্র স্নানের ব্যবস্থা। তবে এ জন্য তাকে সৈকতের ব্যক্তিগত জায়গা কিনতে হবে। ব্রাজিলের গণমাধ্যম গ্লোবোর খবর বলেছে, সেই সমুদ্র সৈকতের সে জায়গাও নাকি আল হিলাল কিনে দেবে। তাই সব কিছু পেয়েই আল হিলালে এসেছেন নেইমার।

গান-বাজনা, হৈহুল্লোড়, আনন্দ ফূর্তি নেইমারের জীবনের একটা বড় অংশ। ইউরোপ ছেড়ে রক্ষণশীল সৌদি আরবে কেমন কাটবে তার জীবন? এসব নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই তার সমর্থকদের মধ্যে। তবে একে একে সবই জানা যাচ্ছে। তাই এক বাদশাহী জীবনের আয়োজন যে নেইমারের জন্য করা হয়েছে তা বলাই বাহুল্য!